ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে বেড়েছে অতিথি পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকাল এলেই রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে ভরে ওঠে গোটা চলনবিল। তবে একশ্রেণির অসাধু চক্র অর্থের লোভে নির্মমভাবে শিকার করছে এসব অতিথি পাখি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বলে প্রতিবছর এই মৌসুমে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠ, নদী, পুকুর, খাল, ডোবা, নালায় উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখির ঝাঁক। পাখির চঞ্চল উড়াউড়ি ও তাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত বেশিরভাগ এলাকা। এসব পাখির মধ্যে রাত চরা, বালিহাঁস, শামুকখোল, নীলশির, লালশির, বড় সরালী, ছোট সরালী, সাদা বক, ধূসর বক, গো বক, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কাদা খোঁচা, মাছরাঙ্গা ও সারস উল্লেখযোগ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পাখি শিকারি জানান, চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময় জলাশয়গুলোতে পুঁটি, খলসে, দারকিনাসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ ও কীট-পতঙ্গ পাওয়া যায়। খাবারের লোভে প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঝাঁকে-ঝাঁকে অতিথি পাখি চলনবিল এলাকায় আসে। তাদের মতো অনেকেই রাতের অন্ধকারে রাত চোরা, কাদা খোঁচা, বালিহাঁসসহ নানা প্রকার অতিথি পাখি শিকার করছেন। কেউবা দিনের বেলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে সারি সারি ফাঁদ পেতে বিভিন্ন প্রজাতির বক পাখি শিকার করছেন। এসব পাখি শিকারের ক্ষেত্রে তেমন বিধি-নিষেধ নেই বলে তারা মনে করেন। আর মানুষের কাছে পাখির মাংস এতই লোভনীয় যে বেশিরভাগ পাখি হাট-বাজার পাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে চলনবিল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতিথি পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে তাড়াশ, চাটমোহর, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে-মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চলনবিলে বেড়েছে অতিথি পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য

আপডেট টাইম : ১২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকাল এলেই রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে ভরে ওঠে গোটা চলনবিল। তবে একশ্রেণির অসাধু চক্র অর্থের লোভে নির্মমভাবে শিকার করছে এসব অতিথি পাখি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বলে প্রতিবছর এই মৌসুমে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠ, নদী, পুকুর, খাল, ডোবা, নালায় উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখির ঝাঁক। পাখির চঞ্চল উড়াউড়ি ও তাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত বেশিরভাগ এলাকা। এসব পাখির মধ্যে রাত চরা, বালিহাঁস, শামুকখোল, নীলশির, লালশির, বড় সরালী, ছোট সরালী, সাদা বক, ধূসর বক, গো বক, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কাদা খোঁচা, মাছরাঙ্গা ও সারস উল্লেখযোগ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পাখি শিকারি জানান, চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময় জলাশয়গুলোতে পুঁটি, খলসে, দারকিনাসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ ও কীট-পতঙ্গ পাওয়া যায়। খাবারের লোভে প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঝাঁকে-ঝাঁকে অতিথি পাখি চলনবিল এলাকায় আসে। তাদের মতো অনেকেই রাতের অন্ধকারে রাত চোরা, কাদা খোঁচা, বালিহাঁসসহ নানা প্রকার অতিথি পাখি শিকার করছেন। কেউবা দিনের বেলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে সারি সারি ফাঁদ পেতে বিভিন্ন প্রজাতির বক পাখি শিকার করছেন। এসব পাখি শিকারের ক্ষেত্রে তেমন বিধি-নিষেধ নেই বলে তারা মনে করেন। আর মানুষের কাছে পাখির মাংস এতই লোভনীয় যে বেশিরভাগ পাখি হাট-বাজার পাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে চলনবিল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতিথি পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে তাড়াশ, চাটমোহর, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে-মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।